বডি বানানোর কৌশল | বডি বানানোর খাবার তালিকা | সিক্স প্যাক বানানোর উপায়
বডি বানানোর কৌশল | বডি বানানোর খাবার তালিকা | সিক্স প্যাক বানানোর উপায় |
বডি বানানোর কৌশল | বডি বানানোর সহজ উপায়
বডি বানানোর খাবার তালিকা
বডি বানানোর ব্যায়াম | বডি তৈরির ব্যায়াম
সিক্স প্যাক বানানোর উপায়
বডি বানানোর ঔষধ | বডি বানানোর ট্যাবলেট |বডি বানানোর পাউডার
বডি বানানোর কৌশল | বডি বানানোর সহজ উপায়
এই অংশে আমরা বডি বানানোর কৌশল ও তারপর বডি বানানোর খাবারের তালিকা নিয়ে আলোচনা করব। যারা জীম করেন তার তো বটেই যারা করনে না তারাও এই তালিকাটি ফলো করতে পারেন। তবে খাবার রুটিনের আগে আমরা আপনার খাদ্যভ্যাস সম্পর্কে বেশ কিছু টিপস দেব।
বডি বানানোর কৌশল | বডি বানানোর সহজ উপায় |
১. সব সময় চিবিয়ে খাবার খাবেন। ভালো করে চিবিয়ে খাবার খেলে খাবারটি খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়। চিবিয়ে খাবার না খেলে খুব দ্রুত ওজন বাড়ে। শরীরের ফিটনেস নষ্ট হয়ে যায়।
২. প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খাবেন। প্রতিদিনের মাপটা যেন ঠিক থাকে সেইদিকে খেয়াল রাখবেন।
৩. অনেক সময় ধরে বসে কাজ করছেন এরকম অবস্থায় হালকা খাবার যেমন শুকনা খাবার যেমন চিপস, কোমল পানীয়, ভাজাপোড়া খাবেন না। আপনি যদি টানা ৯ ঘণ্টা বসে কাজ করার সময় এইরকম খাবার খেতে থাকেন তাহলে ভুড়ি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেড়ে যায়।
৪. সবসময় খাবার খাওয়ার কিছু সময় আগে হালকা পানি খেয়ে নিন। পানি, খাবার হজম করতে অনেক সাহায্য করে। তাই যদি অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাবারও খাঁ তাহলে তা হজম হয়ে যাবে।
৫. কখনো খালি পেটে থাকা যাবেনা। খিদা লাগলে অল্প পরিমাণে খেতে হবে। খালি পেটে থাকার পর, হঠাৎ করে অনেকটা খেলে শরীরে মেদ হয়।
৬. যতটা সম্ভব চিন্তা আর চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন। এতে আপনার শরীর অনেক ভালো থাকবে পাশাপাশি মনও ভালো থাকবে। কারণ, অতিরিক্ত চিন্তা খাওয়ারের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
৭. অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।
৮. ফার্স্ট ফুড খাওয়া যাবেনা। সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে হবে।
৯. যদি খিদে পায়, তাহলে পাতি লেবু লঙ্কা দিয়ে ছোলা মেখে খান, মোদ্দা কথা প্রোটিন জাতীয় খাবার খান। এতে খিদেও মিটবে, মুখের স্বাদও বদলাবে কিন্তু মোটা হওয়ার প্রবণতা থাকবে না।
ওপরের নিয়মগুলো মেনে চললে আপনার শরীর ফিট থাকবে। এখন আপনার জন্য খাবারের রুটিন নিয়ে হাজির হয়েছি।
বডি বানানোর খাবার তালিকা
বডি বানানোর জন্য আমার মতে সবচেয়ে বেশি যেই অংশে গুরুত্ব দেওয়া উচিত সেটা হচ্ছে খাবার তালিকা এবং সঠিক নিয়মে খাওয়া। তাই এই অংশে আপনাদের জন্য বডি বানানোর খাবার তালিকা নিয়ে হাজির হয়েছি।
বডি বানানোর খাবার তালিকা |
ডিমের পোচঃ শরীরকে ফিট রাখার জন্য প্রোটিন যুক্ত খাবারের বিকল্প নেই। আর যদি সহজলভ্য প্রটিন যুক্ত কোন খাবারের কথা বলতে যান তাহলে প্রথমে ডিম পোচের কথা মাথায় আসে। অনেকেরই প্রিয় খাবার এটি। আবার খুব সহজে এবং অল্প সময়ের মধ্যে বানিয়ে ফেলা যায় আর ঝামেলাও কম।
দুধ-কনফ্লেক্সঃ প্রোটিনের পাশাপাশি কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খাওয়াও অতি জরুরি। আর এক্ষেত্রে দুধ কনফ্লেক্স খুব উপযোগী। আমরা ছোট বেলা থেকেই পড়ে আসছি দুধ একটি সুষম খাবার। তাই অন্য সকল ধরনের খাবারের ঘাতটি পূরণ করতেও দুধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
লাল আলুঃ আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি খাবার হচ্ছে আলু। আমাকে যদি বলেন শুধু আলু খেতে হবে আমি অলব আমার কোনো সমস্যা নাই। আলু অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, যেটা গ্লুকোজের স্তর বাড়াতে সাহায্য করে। শর্করা, ফাইবারের মাত্রাও বেশি থাকে লাল আলুতে।
ভাতঃ এসব খাবারের কথা বলতে বলতে আসল খাবারের কথায় বলতে ভুলে গেছি। যেটি আমাদের প্রধান খাবারও বটে। সেটি হচ্ছে ভাত। খুব অল্প পরিমাণে সাদা ভাত খাওয়া যেতে পারে। জিমের সময় শরীরে সুগারের মাত্রা কমে যায়, তাই শরীরে সুগ্যারের মাত্রা বাড়ানোর জন্য ভাত খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
ড্রাই ফ্রুটসঃ প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, কার্বহাইড্রেট, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম প্রভৃতি। এনার্জি বাড়াতে মক্ষম ভুমিকা পালন করে ড্রাই ফ্রুটস।
বাদাম জাতীয় খাবারঃ বাদাম শরীর চর্চার এক অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য। প্রচুর ভিটামিন থাকে।
মুরগির স্ট্রুঃ প্রোটিন, ওমেগা-৩ ও এমাইনো অ্যাসিড পাওয়া যায় চিকেন থেকে। প্রোটিনের ঘাটতি অনেকটা কমিয়ে দেয় এই পদ।
ফলঃ ফল খেলে কোনো ক্ষতি নেই। তাই নিয়মিত ব্যায়ামের পর ফল খেতে পারেন।
বডি বানানোর ব্যায়াম | বডি তৈরির ব্যায়াম
বডি বানানোর জন্য খাবারের পর যেই বিষয়ের ওপর অধিক গুরুত্ব দিতে হয় সেটি হচ্ছে ব্যায়াম। আর এই অংশে আমরা আপনাদের জানাবো বডি বানানোর ব্যায়াম বা বডি তৈরির ব্যায়াম সম্পর্কে।
বডি বানানোর ব্যায়াম | বডি তৈরির ব্যায়াম |
• সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির পাশের পার্কে বা মাঠে আধাঘন্টা হাঁটুন বা দৌড়ান। শরীরের অবস্থাভেদে সময়ের কম বেশি হতে পারে। সপ্তাহে প্রতিদিন হাঁটার চেষ্টা করবেন প্রতিদিন সম্ভব না হলেও কমপক্ষে ৩ দিন হাঁটার চেষ্টা করুন। ঘরের মধ্যে ট্রেডমিলে হাঁটার চেয়ে উন্মুক্ত প্রকৃতিতে হাঁটা হাজার গুণে ভাল। ট্রেডমিলে হাঁটার চেয়ে এটা স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশি ভালো।
• কম দূরত্বের কোথাও যেতে হলে হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করুন অথবা সাইকেল চালিয়েও যেতে পারেন এটা আপনার স্বাস্থের জন্য অনেক উপকারি।
• কখনো একটানা বসে থাকবেন না। এতে আপনার পেটে মেদ জমতে পারে। তাই একটানা বসে কোনো কাজ করলে মাঝে মাঝে উঠে দাঁড়ান একটু করে হাটুঁন।
• স্কিপিং করতে সক্ষম হলে আপনি স্কিপিং করতে পারেন। করতে পারেন বার্পিস, রক ক্লাইম্বিং, জাম্পিং জ্যাক জাতীয় কার্ডিও ব্যায়াম। এই ধরণের শরীর চর্চা করলে সারা শরীরের ব্যায়াম হয়, যার ফলে পুরো শরীর ভালো থাকে ও পেশি মজবুত হয়।
• প্রতিদিন সকালে আধাঘন্টা বা তার একটু কম বেশি সময় নিয়ে ভার উত্তোলোনের ব্যায়াম করতে পারেন। যেমন, স্কোয়াট, লেগ এক্সটেনশন বা আয়রন শ্যু এক্সারসাইজ, লেগ কার্ল, বারবেল বা ডাম্বেল ওয়েট লিফটিং, বেঞ্চপ্রেস ইত্যাদি৷ বুকডন, লেগ রাইজ, ক্রাঞ্চেস মারুন। তবে একটা ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে একটা ব্যাপার মাথায় রখবেন। সেটা হচ্ছে এক্সেই ব্যায়ামই করেন না কেন অবশ্যই সঠিক নিয়ম জেনে অবেই করবেন। না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
• এইসব ব্যায়ামের পাশাপাশি আপনি যোগ ব্যায়ামও করতে পারেন। এতে আপনার মন ভালো থাকবে, মন স্থির হবে।
সিক্স প্যাক বানানোর উপায়
সিক্স প্যাক বডি চায় না এমন পুরুষের সংখ্যা হাজারে একটাও খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে। আর আপনাদের সেই চাওয়াকে বাস্তবে পূরণ করতে আজকের এই পোস্ট। পোস্টের এই অংশে দেখাবো সিক্স প্যাক বানানোর উপায়।
সিক্স প্যাক বানানোর উপায় |
ক্রাঞ্চেস
প্রথমে যেই ব্যায়ামটি নিয়ে কথা বলব এর নাম ক্রাঞ্চেস। সিক্স প্যাক বানানোর উপায় নিয়ে কথা বলতে গেলে এই ব্যায়ামটিকে প্রথম ধাপ হিসেবে ধরতে পারেন। যাইহোক এই ব্যায়াম শুরু করার জন্য, প্রথমে ফ্লোরে শুয়ে পড়ুন। এরপর হালকা হাঁটু ভাজ করুন। এবার হাত দুটো ভাজ করুন মাথার দুই পাশ বরাবর স্পর্শ করুন। এখন একটানা দশবার মেঝে থেকে কাঁধ ওপরে উঠিয়ে বসার চেষ্টা করুন।
সিট আপস
সিট আপস এর ধরণও ক্রাঞ্চেস এর মতো একইরকম। কিন্তু এক্ষেত্রে হাত এবার মাথায় না রেখে দুই পাশে রেখে দিন। কাঁধসহ শরীরের ওপরের অংশ তুলে আনুন। আবার আগের অবস্থানে নিয়ে আসুন। এইটাও ১০ বার করার চেষ্টা করুন।
রিচিং অবলিগ ক্রাঞ্চ
এই ব্যায়ামের ধরণও ঠিক আগের দুটির মতোই। শুধু কাঁধসহ শরীর ওপরে ওঠার সময় একবার শরীর বেঁকে ডান দিকে একবার আর বাঁ দিকে একবার নিয়ে যেতে হবে। দুই পাশে পাঁচ বার পাঁচ বার করে মোট দশ বার করে করুন।
বাইসাইকেল ক্রাঞ্চেস
হাতের অবস্থান নিন আগের ক্রাঞ্চের মতো। পা এখানে শূন্যে রেখে প্যাডেলিং হবে ছন্দ মিলিয়ে। অন্যদিকে ভাঁজ করা হাতের কনুই একবার ডান হাঁটু, অন্যবার বাঁ হাঁটু স্পর্শ করবে। এই ব্যায়ামও দশ বার করতে হবে।
একইভাবে নিচে দেওয়া ব্যায়ামগুলো অনুশীলন করতে পারেন।
ফ্লটার কিকস
লেগ রাইজেস
রিভার্স ক্রাঞ্চেস
নি টাক ক্রাঞ্চেস
প্ল্যাঙ্ক
বডি বানানোর ঔষধ | বডি বানানোর ট্যাবলেট |বডি বানানোর পাউডার
বডি বানানোর ঔষধ | বডি বানানোর ট্যাবলেট |বডি বানানোর পাউডার |
0 Comments